বুধবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

বসন্ত কাল : (SPRING)'

 বসন্তকাল : ইংরেজীতে বলা হয় Spring.

ফালগুন ও চৈত্র এই দুই মাস বসন্তকাল ।

উত্তরের ঠাভা বাতাস বন্ধ হয়ে যায় এবং দক্ষিণের

বাতাস বইতে শুরু করে ফলে আবহাওয়াতে এক

নতুন মাত্রা বিরাজ করে ৷ অর্থ্যাৎ এসময় গরম

পড়ে না আবার বেশী ঠান্ডাও পড়ে না ৷ নাতিশিতোষ্ণ

অবস্থা বিরাজমান থাকে। শীতের শেষ প্রান্তে যে সমস্ত

গাছে পাতা একেবারে ঝরে যায় সে সমস্ত গাছে 

আবার নতুন পাতা জন্মাতে থাকে ৷ শিমুল, পদ্ম,

দোলন চাপা , জুঁই ইত্যাদি নানা রকম ফুল এই 

ঋতুতে ফুটে প্রকৃতিকে এক নতুন রুপ দিয়ে থাকে ৷

আমের  কুসুমের মন মাতানো গন্ধে প্রকৃতি এক নতুন

চন্দে থাকে ৷ প্রজাপতি ফুলে ফুলে ঘুরে বেড়ায় , গাছ

এর ডালে ডালে কুকিলের গান শুনা যায৷ সব মিলিযে

বসন্তকে ঋতুর রাজা বলা হয় ৷

এসময় হালকা হালকা রোগব্যাধিও দেখা যায় ৷

যেমন : হাম, কলেরা, টাইফয়েড ইত্যাদি।

 বসন্তের অপরুপ সুন্দরে মুগ্ধ হয়ে অনেক কবি

সুন্দর সুন্দর কবিতা লিখে গেছেন ৷ আমার প্রিয়

ঋতু বসন্তকাল ৷



শীতকাল : (WINTER )

 শীতকাল : ইংরেজিতে বলা হয় winter.

পৌষ ও মাঘ এই দুই মাস হল শীতকাল | এসময়

উত্তর দিক থেকে ঠান্ডা শীতল বাতাস বইতে থাকে ৷

প্রচন্ড শীতে ছোট বড় সবাই নানা রকমের শীতের

কাপড়  পড়ে ঘূরে বেড়ায়। ডালিয়া, গাঁদা সহ নানা রকম ফুল , নানা রকম তরিতরকারি এবং ফল আোপেল , কমলা, আংগুর ইত্যাদি) শীতকালে 

পাওয়া যায় ৷ এই সময় ঘরে ঘরে নানা রকমের

পিঠে তৈরি হয় ৷ শীতকালে রোগ ব্যাধি মানুষের

কম হয় ৷ সকালে ঘাসের ডগায় জমে থাকা

শিশিরের ওপর সূর্যের কিরণ পড়লে মুক্তা দানার 

মতো মনে হয় ৷

সব মিলিয়ে শীতকাল অনেকের কাছেই প্রিয়ঋতু I

হেমন্তকাল : (Late Autumm)

 হেমন্তকাল : - ইংরেজীতে বলা হয় Late Autumn.

কাৰ্ত্তিক ও অগ্রহায়ণ এই দুই মাস হেমন্তকাল ৷

অনেকটা বৃষ্টিহীন শরতের শেষে কাঁশফুল যখন 

একেবারে নুইয়ে পড়ে তখন শুরু হয় হেমন্ত ৷ হেমন্তকালে বাংলার কৃষকদের ঘরে ঘরে শুরু 

হয় ফসল তোলার নবান্ন উৎসব | হেমন্তের

শুরুটা শরতের বিদায়ি আমেজে কিছুটা উষ্ণ

থাকে ৷ আর শেষের দিকে শীতের আগমনি বার্তা

দিয়ে থাকে ৷ সকাল বেলা শিশির ভেঁজা ধুর্বা ঘাস

প্রকৃতিতে এক নতুন মাত্রা যোগ করে মনকে

এক অপরুপ মহিমায় ভরে তোলে ৷


মঙ্গলবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

শরতকাল : ( Autumn)

 শরতকাল : 

ভাদ্র ও  আশ্বিন এই দুই মাস হল শরতকাল ৷ ইংরেজীতে বলা হয় Autumn.

সৃগ্ধ কোমল মোলায়েম পরিবেশ নিয়ে বাংলাদেশে এই

ঋতু পদার্পন করে ৷ এ সময় তীব্র গরম থাকে না , প্রচন্ড ঝড় তোফানও থাকে না ৷ নীল আকাশে সাদামেঘের ছড়াছড়ি থাকে, মাঝে মাঝে সামান্য বৃষ্টিপাত হয৷ নদী নালা হাওর বিলে অল্প পানিতে 

দেখা যায় শাফলা ফুলের হাসি। এসময বকফুল, পদ্ধ,

কাঁশফুল, দোলন ইত্যাদি ফুল প্রকৃতিকে সাজিয়ে রাখে। 

এ সময়কার মনোরম দৃশ্যে মুগ্ধ হয়ে অনেক কবি 

শরতকাল নিয়ে অনেক কবিতা লিখে গেছেন ৷



ছয় ঋতুর নাম ইংরেজীতে

   বাংংলাদেশ ছয়টা ঋতুর দেশ |

আমাদের দেশে ছয়টা ঋতু প্রতি দুই মাস অন্তর 

পরিবর্তন হয়। যেমন: গ্রীষ্মকাল' , বৰ্ষাকাল, শরৎকাল '

হেমন্তকাল, শীতকাল ও বসন্তকাল ৷

ইংরেজী সহ ঋতুগুলোর ধারাবাহিক বর্ণনা:

১. গ্রীষ্মকাল : ইংরেজীতে বলা হয় Summer .

বৈশাখ ও জৈষ্ঠ এই দুই মাস গ্রীস্মকাল ৷ গ্রীষ্মকালে বাংলাদেশে প্রচুর গরম পড়ে ৷

২. বর্ষাকাল : ইংরেজীতে বলা হয় Reany season.আষাঢ় ও শ্রাবণ এই দুই মাস বর্ষাকাল ৷

বর্ষাকালে আমাদের দেশে   প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টিপাত .হয়। নদী নালা খাল বিল এ সময় পানিতে ভরে যায় ৷

                                                            চলমান :