বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়মসমুহ :
কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করিয়া বর্তমানে প্রায় সকল অপারেটরে গ্রাহকগণ নিজের ফোনেই বিকাশ একাউন্ট খোলে ফেলতে পারেন। বিকাশ অ্যাপ ডাউনলোড করে ফোনের অ্যাপ থেকেই ঘরে বসে একাউন্ট খুলতে পারবেন নিচের কযেকটি ধাপ অতিক্রিম করে।
একাউন্ট খুলতে যা যা লাগবে-
১। স্মার্টফোন
২। জাতীয় পরিচয়পত্র ৷
মোবাইলে বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম ..
১ | বিকাশ অ্যাপে লগিন করুন |লিংকটিতে প্রবেশ করে Register এ ক্লীক করুন ..
https://www.bkash.com/app?referrer=uuid%3DC1DD8FC1
২। একটি অপারেটর বেছে নিন।
৩ | মোবাইল নাম্বার অপশনে একটি মোবাইল নাম্বার দিন ।
৪ |মোবাইল নাম্বারে পাঠানো ভেরিফিকেশন কোড দিয়ে পরের অপশনে যান।
৫ |শর্তাবলি দেখে সম্মতি দিন।
৬। মূল জাতীয় পরিচয়পত্রের সামনের অংশ ও পেছনের অংশের ছবি তুলুন।
৭। ফোনের ক্যামেরা দিয়ে নিজের চেহারার ছবি উটান ৷
৮। তথ্য সাবমিট করুন অপশনে ক্লীক করে এগিয়ে যান।
৯। ফোনে একটা ভেরিফিকেশন কোড আসবে এস এম এস দ্বারা ৷
১০। এস এম এস আসার পর সঠিক জায়গায় বসিয়ে কনফার্ম করুন | এসএমএস টি পাওয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পিন সেট করতে হবে। পিন সেট করতে অ্যাপে এসে পিন সেট করুন অপশনে ট্যাপ করে ৫ সংখ্যার পিন দিয়ে নিশ্চিত করুন।
১১। তারপর বিকাশ অ্যাপে লগইন করুন।
( আপনার গোপন পাস ওয়ার্ড নিরাপদ রাখুন।)
নিকটবর্তী ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন পয়েন্টে ও বিকাশ একাউন্ট খুলতে পারবেন ৷
সেজন্য যা যা দরকার :
১। একটি মোবাইল ফোন
২। জাতীয় পরিচয় পত্র
নিয়মাবলী:
১। এজেন্ট আপনার মোবাইল নাম্বার ও অপারেটর নিশ্চিত করিয়া একাউন্ট খোলার জন্য অনুমতি দেবেন।
২। আপনার নাম্বারে পাঠানো OTP নাম্বারটি নেবেন। সঠিক অপশনে
৫। সফল রেজিস্ট্রেশন হলে একটি কনফার্মেশন কোড এসএমএস এ পাবেন।
আপনার মোবাইল মেন্যু অ্যাক্টিভেট করতে নিচের নিয়মগুলো অনুসরণ করুন:
১। *২৪৭# ডায়াল করে বিকাশ মোবাইল মেন্যুতে যান।
২ | বিকাশ একাউন্টের জন্য ৫ ডিজিটের পিন নাম্বারটি প্রবেশ করান
৩৷ এক্টিভেট মোবাইল ম্যানু বেছে নিন .
৪। নিশ্চিত করার জন্য আপনার পিন নাম্বারটি পুনরায় প্রবেশ করান |
পিন নাম্বার কাউকে দিবেন না
সকল ধাপ সঠিক ভাবে পার করিয়া আপনার মোবাইল নাম্বারটি একটি বিকাশ একাউন্ট নাম্বার হিসেবে গণ্য হইবে ৷আপনার বিকাশ একাউন্টির দ্বারা প্রাথমিক ভাবে মোবাইল রিচার্জ, অ্যাড মানি এবং ক্যাশ ইন সেবা ব্যবহার করতে পারবেন ৷তবে, আপনার KYC ফরম এর তথ্য যাচাই হয়ে গেলে, ৩-৫ দিনের মধ্যে আপনি “ক্যাশ আউট ” মোবাইল রিচার্জ পেমেন্টসহ অন্যান্য সেবা সমূহ নিতে পারবেন ৷ একাউন্টটি পুরোপুরি সক্রিয় হওয়ার পর *247# ডায়াল করে দিন রাত ২৪ ঘণ্টা বিকাশের সকল সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।
যদি বিকাশ এজেন্ট নাম্বারে ভুলে টাকা গিয়ে থাকে সেক্ষেত্রে অনেক সময় সহজে টাকা ফেরত পাওয়া যায় | তবে এটাও নিশ্চিতভাবে বলা যায়না। তাই ভালভাবে নাম্বার চেক করিয়া টাকা পাঠান
ক্যাশ ব্যাক-এ যে টাকা টা সেটা কি সুদের অন্তর্ভুক্ত? এটা খরচ করা জায়েজ হবে?
উত্তর:
বিকাশ এবং তাদের বিজনেস্ পার্টনার ( যে সকল কোম্পানী বিকাশের সাথে চুক্তিবদ্ধ) বিভিন্ন ব্র্যান্ড, দোকান বা প্রতিষ্ঠানে বিকাশের মাধ্যমে লেনদেন করা হইলে তারা তৎক্ষণাৎ নির্ধারিত মূল্য থেকে কিছু টাকা ফেরত প্রদান করিয়া থাকেন। এটাই হল ক্যাশ ব্যাক।
উদাহরণস্বরূপ: আপনি যদি বিকাশের সাথে চুক্তিবদ্ধ কোন দোকান বা প্রতিষ্ঠান থেকে ২০০০ টাকার পণ্য ক্রয় করেন এবং সেই টাকাটা বিকাশের মাধ্যমে পেমেন্ট করার কারণে মনে করেন আপনি 80 টাকা ফেরত পেলেন। অর্থাৎ আপনি বিকাশের মাধ্যমে পেমেন্ট করার কারণে উক্ত পণ্যটা পেলেন ১৯৬০ টাকায়। এটা হচ্ছে মূলত বিকাশ এবং উক্ত প্রতিষ্ঠানের সমন্বিত গ্রাহক আকৃষ্ট করার পদ্ধতি। এতে একদিকে বিকাশের প্রচার-প্রচারণা এবং গ্রাহক বৃদ্ধি হয় অপরদিকে উক্ত প্রতিষ্ঠানেরও প্রচার-প্রচারণা এবং বিক্রয় বৃদ্ধি লাভ করে |
অর্থাৎ আপনি সঠিক মূল্যে পন্য ক্রয় করার কারণে পণ্যের মালিক আপনাকে ছাড় দিয়েছে। এক্ষেত্রে বিকাশ এবং ঐ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চুক্তি থাকে এবং পরবর্তীতে তারা গ্রাহককে দেওয়া এই ছাড়টা নিজেদের মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী ভাগাভাগি করিয়া নেয়-যা তাদের উভয়ের প্রচার প্রসারের খরচ বাবদ গণ্য করা হয়। তবে আমরা জানি বিকাশ ব্র্যাক ব্যাংকের সাথে জড়িত একটি সুদ ভিত্তিক আর্থিক পরিষেবা। তাই সুদভিত্তিক লেনদেন দ্বারা প্রকারান্তরে তাদেরকেই সহায়তা করা হয়।
সুতরাং ক্যাশ ব্যাক পাওয়ার আশায় কোন দোকান থেকে পণ্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে বিকাশ সুদভিক্তিক লেনদেন না করাই ভালো। বরং সরাসরি দোকানদারকে নির্দিষ্ট মূল্য পরিশোধ করেই পণ্য ক্রয় করা উচিত এবং এটাই সবচেয়ে নিরাপদ। আল্লাহু সবাইকে ভালো রাখুন | আমিন